মো. রুবাইয়াদ ইসলাম, হাবিপ্রবি (দিনাজপুর):
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোর্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ফি মওকুফ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. কামরুজ্জামানের অনুমোদনক্রমে ও রেজিস্ট্রার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মেধাবৃত্তি ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক কোর্সে ভর্তি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য এনরোলমেন্টের সময় প্রদত্ত কোর্সের ক্রেডিট ফির টাকা মওকুফ করার কথা বলা হয় এবং এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত উল্লেখ করা হয়।
রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মো. ফজলুল হক বলেন, যেহেতু বোর্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ক্রেডিট ফি মওকুফ করার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনা ছিল, সেহেতু আমরা ওই বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছিলেন বলেই অতি অল্প সময়ের মাঝেই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা সম্ভব হয়েছে।”
বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থী নাজিম আহমেদ বলেন, উপাচার্য যে শিক্ষার্থীবান্ধব তিনি তার কাজের মাধ্যমে তা প্রমাণ করে দিলেন। অনেকদিন ধরেই আমাদের দাবি ছিল যারা এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড বৃত্তি পায় তাদের কোর্স ফি যেন মওকুফ করা হয়। শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী আমাদের কোর্স ফি মওকুফ করার নির্দেশনা থাকলেও বিগত প্রশাসন এই ব্যাপারে এতদিন উদাসীন ছিল। বর্তমানে আমাদের দাবি মেনে বোর্ড বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের কোর্স ফি মওকুফ করায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের যৌক্তিক দাবিটি হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি সুন্দরভাবে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে তুলে ধরেছে। তাই বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতির প্রতি। আশা করি, হাবিপ্রবিসাস শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি আগামীতে আরও বেশি বেশি তুলে ধরবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই হাবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি এ ব্যাপারে ‘সেতুবন্ধন’ নামক ফেসবুক লাইভে নবনিযুক্ত উপাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এমন সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।